ধানের ফলন বৃদ্ধিতে করনীয় শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা বাংলাদেশ ফল গবেষণা ইনস্টিটিউট রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয় হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (গবেষণা) ড. তমাল লতা আদিত্যে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাজাহান কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়া অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মতিয়ার রহমান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দানাদার শস্য উৎপাদনের মাধ্যমেই দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশে ধানের রোগ পোকামাকড় দমন করা গেলে কয়েক লক্ষ টন খাদ্য উৎপাদন সম্ভব। তাই সকলকে আরোও সতর্কভাবে ধান আবাদের দিকে খেয়াল করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানান। তিনি ধান গবেষণা কর্তৃক গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করেন যা ভবিষ্যতে ধান আবাদে সুফল নিয়ে আসবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, ধানের রোগ পোকামাকড় দমন করলে আমাদের দেশ আরোও এগিয়ে যাবে। তারা ব্লাস্ট রোগের বিষয়ে বেশ গুরত্ব দেন। এ সম্পর্কে বলেন, যে সমস্ত জমিতে ব্লাস্ট দেখা দিবে সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ না করা উত্তম। এবছর যে সমস্ত জাতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিবে সম্ভব হলে আগামী বছর সেই সমস্ত জাতের ধান চাষ না করা। আমন মৌসুমে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে ধানে ব্লাস্টের আক্রমন হয়। এছাড়া এই রোগ দমনে ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন ।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বাংলাদেশে এ পর্যন্ত মোট ৩২টি রোগ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় এবং বিভিন্ন জাতের ধানে শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ১০টি মুখ্য রোগ বাকি ২২টি গৌণ। এ রোগগুলো দ্বারা ধানের ফলন শতকরা ১০-১৫ ভাগ কম হয়। তাই ধান চাষে ক্ষতিকর রোগ পোকা সঠিকভাবে নির্নেয় করে তা দমনের ওপর গুরত্ব প্রদান করেন।
কর্মশালায় রাজশাহী এবং বগুড়া কৃষি অঞ্চলের কর্মকর্তা, কর্মচারী, কৃষক, সংবাদিক সহ প্রায় প্রায় ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।